ঘুড়ি উৎসবে মেতেছে পুরান ঢাকা
স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় :
১৪-০১-২০২৫ ০৬:২৮:০১ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
১৪-০১-২০২৫ ০৬:২৮:০১ অপরাহ্ন
সংবাদচিত্র : সংগৃহীত
বাংলা পঞ্জিকা অনুসারে আজ পৌষ মাসের শেষ দিন বা পৌষ সংক্রান্তি। এ দিন ঐতিহ্যবাহী সাকরাইন উৎসব পালন করে পুরান ঢাকার মানুষ। প্রতি বছরই এ দিনে উৎসবমুখর থাকে পুরান ঢাকা। এবারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সকাল থেকেই ঘুড়ির আনাগোনা দেখা গেছে পুরান ঢাকার আকাশজুড়ে।
পুরান ঢাকার শাঁখারীবাজার, নারিন্দা, ওয়ারী এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি বাড়ির ছাদে চলছে ঘুড়ির খেলা। কোনও কোনও স্থানে দুপুর থেকেই বাজছে ডিজে গান। এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সাকরাইন উৎসবের কয়েক সপ্তাহ আগে থেকেই শুরু হয় প্রস্তুতি। বিশেষ করে এ এলাকার দোকানিদের ঘুড়ি ও ফানুস তৈরির তোড়জোড় লেগে যায়। তারা জানান, সাকরাইন ঘিরে পুরান ঢাকার বাড়ির ছাদগুলো রঙিন হয়ে ওঠে। সারা দিন ঘুরি ওড়ানো শেষে রাতে আলোকসজ্জা, ডিজে সংগীতের আয়োজন থাকবে। কিশোর-কিশোরীদের হৈ-হুল্লোড় চলে গভীর রাত পর্যন্ত। তবে বিগত বছরগুলোর তুলনায় এবারের চিত্র কিছুটা ভিন্ন। এবার উৎসবে উদ্দীপনা কিছুটা কম।
শাঁখারীবাজারের বাসিন্দা সজীব পাল বলেন, ‘সকারাইন আমাদের অন্যতম প্রিয় উৎসব। উৎসবকে ভিন্নমাত্রা দিতে ঘুড়ি উড়ানোর পাশাপাশি বাসার ছাদে সাজানো হয় অস্থায়ী মঞ্চ। যেখানে রাখা হয় সাউন্ড সিস্টেমের বিভিন্ন সরঞ্জামাদি।’
ওই এলাকার ঘুড়ি ব্যবসায়ী স্বপন নাগ বলেন, ‘এ বছর সাকরাইনে বেচা-কেনা কম। জিনিসপত্রের দাম তুলনামূলক বেশি। ঘুড়ি বানাতে খরচ বেশি হয়। তাই দামও একটু বেশি। এবার নকশা করা ঘুড়ির দাম বেশি।’ ১০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত ঘুড়ি বিক্রি করেন তিনি। এছাড়া কমদামের হালকা নকশার ঘুড়িও রয়েছে তার কাছে।
শাঁখারীবাজারের বাসিন্দা রমেন সাহা স্মৃতিচারণ করে বলেন, ‘আমাদের কাছে সাকরাইন মানে ছিল ঘুড়ি উড়ানো আর পিঠা-পুলি। এখন সাকরইন অন্যরকম হয়ে গেছে। ছেলেরা আর আগের মত ঘুড়ি উড়ায় না। তারা এখন ডিজে গানই বেশি বাজায়। আমাদের সময় হাজার হাজার ঘুড়ি উড়ানো হতো। আর এখন আতসবাজি ফুটানো ও ডিজে গানে তারা খুব বেশি আগ্রহী।’
ঢাকাবাসী সংগঠনের সভাপতি শুকুর সালেক বলেন, ‘সাকরাইন মূলত একটি পারিবারিক উৎসব। সবাই পরিবারের সঙ্গে পিঠাপুলি আর ঘুড়ি উড়িয়ে এ উৎসব পালন করে। কিন্তু ডিজে পার্টি উচ্চ স্বরে গান বাজানো এটা আমাদের কালচার না। মুড়ি, খই, বাতাসা, মিষ্টি খাওয়া। একে অপরকে দাওয়াত দেওয়া এটাই আমাদের উৎসবের অনুষঙ্গ। সাকরাইনের নামে অপসংস্কৃতি সামাজিকভাবে প্রতিরোধ করতে হবে।’
বাংলাস্কুপ/প্রতিবেদক/এনআইএন/এসকে
প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স